শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আজ বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সাথে তহবিল সহায়তা ও অন্যান্য সহযোগিতার মাধ্যমে কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে বন্যা কবলিত রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখবে।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, ‘ভয়াবহ বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও (রোহিঙ্গা) শরণার্থী শিবিরের মানুষের জীবনে শারীরিক ও মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
রাষ্ট্রদূত এ পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ সংস্থা ও এনজিওগুলির মাধ্যমে কিভাবে জাপান সরকারের দেয়া সহায়তা তহবিল এসব ক্যাম্পে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি আমার ষষ্ঠ সফর এবং এবার আমি গত ১৭ আগস্ট ভারী বর্ষণের কারণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি।’
ইওয়ামা উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতাল, সেভ দ্য চিলড্রেন সাইট ও ইউএনএইচসিআর ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) প্রকল্পের সাইটগুলিও পরিদর্শন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতালের ইনপেশেন্ট বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত এবং আমি আশা করি এই নতুন উদ্বোধন রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে।’
রাষ্ট্রদূত টেকনাফে আয়োজিত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন। এছাড়া, তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে, জাপান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলির মাধ্যমে কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসানচরে বিভিন্ন হস্তক্ষেপে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
এসব সহায়তার মধ্যে রয়েছে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, ওয়াশ, আশ্রয়, সুরক্ষা এবং নারীদের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা।
এছাড়াও, জাপান গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-কে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা কবলিত এলাকায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট সপ্তম বছরে পরেছে। এ পর্যায়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য, যখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে একাধিক জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, জাপান রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে।