শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : আজ এক সেমিনারে বক্তারা কপ২৯-এর প্রাক্কালে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বক্তারা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৪২ শতাংশ কার্বন হ্রাসের জন্য তাদের প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করার প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠেয় ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনকে (কপ২৯) সামনে রেখে সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ইক্যুইটিবিডি যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে এ পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না। তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বিষয়ে যদি অধিকতর মনোযোগ দেওয়া না হয়, তবে কপ২৯ এ জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বৃথা যাবে।
কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিডিপি, সিপিআরডি, এওসিইডি, বিসিজেএফ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং সিএসআরএল সহ-স্বাগতিক সংস্থা হিসেবে ইক্যুইটিবিডি’র সাথে যোগ দিয়েছে।
ইক্যুইটিবিডি’র প্রধান মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, ড. পিকেএসএফ-এর ফজলে রাব্বি, সিপিআরডি’র শামসুদ্দোহা, সিএসআরএল-এর জিয়াউল হক মুক্তা, মনুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আহসানুল ওয়াহেদ, সিডিপি’র জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের আবুল হাসান।
জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি উল্লেখ করে জলবায়ু সম্মেলনে সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য তহবিল জোগাচ্ছে। তবে তাদের কাছ থেকে ঋণ ও বিনিয়োগসহ সব অর্থকেই জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন ইউএনএফসিসিসি’র মাধ্যমে না দিয়ে, বরং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য বৈশ্বিক অর্থ ঋণদাতাদের মাধ্যমে দেওয়া হয়, যারা এই অর্থ দিয়ে ব্যবসা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
ধরিত্রী কুমার সরকার বলেন, আজকের আলোচনার সুপারিশগুলো আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবনাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ড. ফজলে রাব্বি বলেন, জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুতিকৃত অর্থের এক শতাংশেরও কম অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। যদি বা অর্থ আসে, আমরা প্রায়ই অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এটি ব্যবহার করতে পারি না, অবশ্যই এর সমাধান করা উচিত।
রেজাউল করিম চৌধুরী ইউএনএফসিসিসি’র ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু অর্থায়নের সর্বোচ্চ অংশ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জলবায়ু তহবিল যতটা ইউএনএফসিসিসি কাঠামোর বাইরে ব্যয় করা হবে, ততটাই ব্যবসা করা হবে।
জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে উষ্ণায়ন অবশ্যই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। কিন্তু এর দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানান তিনি।