শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪, (বাসস) : ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনগুলোতে নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য এবং নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকল নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ সকালে কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশটি পাঠান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন।
নোটিশে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এমনকি, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারের নির্বাচন আর ২০২৪ সালে নিজেদের ভিতরে পাতানো নির্বাচন হয়েছিল যেখানে প্রায় সকল সংসদ-সদস্যই ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পছন্দের বা তার আজ্ঞাবহ লোক ছিল।
ওইসকল নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি এবং নির্বাচন কমিশনারগণ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে এবং সেই সম্পদের সিংহভাগ বিদেশে পাচার করেছে।
এমতাবস্থায় বিক্ষিপ্তভাবে দু’চারজনকে আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হলে পতিত সরকারের গত ১৫ বছরে নির্বাচন সহ সকল অপকর্ম সংঘটনকারী এবং তাদের সহযোগীদেরকে দুদক আইনের আওতায় আনতে হবে ।
নোটিশে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য এবং নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুদক আইন এবং মানি লন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অনুসন্ধান ও প্রসিডিং শুরু করতে বলা হয়েছে।