শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ও অভিবাসন পরিকাঠামো উন্নত করতে ভারত আজ পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোলে একটি সমন্বিত চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং মৈত্রী দ্বার নামে একটি যৌথ কার্গো গেট খুলেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন এবং মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের পাটানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
পেট্রাপোল (ভারত)- বেনাপোল (বাংলাদেশ) স্থলবন্দরটি বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে উভয় দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত সংযোগগুলোর একটি।
ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি (এলপিএআই) দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভাষা, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের আদান-প্রদানকে সহজতর করছে বলে মন্তব্য করেন অমিত শাহ।
তিনি আরও বলেন এলপিএআই পূর্ব ভারতের জনগণের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা, সীমান্ত বাণিজ্য, সীমান্ত সংযোগ এবং সংযোগের জন্য বন্ধুত্বের পথ খুলে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্থলবন্দর পেট্রাপোলে নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং এই অঞ্চলের অবকাঠামোতে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে।
৫৯ হাজার ৮০০ বর্গ মিটারের একটি বিল্ট-আপ এলাকাসহ, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনটির প্রতিদিন ২০ হাজার জন যাত্রী পরিচালনার ক্ষমতা রয়েছে।
নতুন যৌথ কার্গো গেট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যের প্রবাহকে সহজ ও প্রবাহিত করবে যার ফলে বাণিজ্য দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
এই স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলভিত্তিক বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মোট বাণিজ্যের (মূল্য অনুসারে) প্রায় ৩০ শতাংশ হয়ে থাকে।
পেট্রাপোল স্থলবন্দরটি ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বছরে ২৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি যাত্রী এ বন্দর দিয়ে চলাচল করে।