শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস গত ১৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরমান হাসেন বাদী হয়ে আজ সন্ধ্যায় শআহবাগ থানায় মামলাটি দায়র করেন। মামলা দায়ের শেষে শাহবাগ থানা চত্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে আরমান বলেন, ‘শাহবাগ থানায় দায়েরকৃত আগের মামলাটি থেকে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের কিছু নাম বাদ পড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, এ মামলাটি পেনাল কোডের ৩২৬, ১০৯ এবং ১১৪ ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী ছাড়াও ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা যারা বেআইনিভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে বাধা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও দ-বিধির ৩৪১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শায়ন, সাধারণ সম্পাদক মো. তানবীর হাসান সৈকত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি ইমরাহিম সানিম ও সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি চৌধুরী আ.ন.ম নকিব আশরাফ।
মামলার মূল পরিকল্পনাকারী, উসকানিদাতা এবং হামলার সাথে কারা জড়িত ছিল সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুল ধরেন প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের।
মামলার বাদী আরমান আরও বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি ...ঘন্টার পর ঘন্টা হোমওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছি এবং বেশ কয়েকবার পর্যালোচনা করা হয়েছে যাতে অভিযুক্তের তালিকায় কোনো নিরপরাধ মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত না হয়।’
ঢাবি ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই হামলার ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্ররীগ নেতাদের নাম উল্লেখ করে এর আগে গত ২১ অক্টোবর ৩৯১ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
সেদিন ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকারের করা মামলায় ৮০০-১০০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়।
প্রেস বিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।