শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ বলেছেন, নদীর মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টরা উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র ও পরিবেশ ধ্বংস করেছে। তাই নদী হত্যারও বিচার হওয়া উচিত। নদী হত্যা গণহত্যার শামিল। আমাদের গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে, কিন্তু এখন আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।’
রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদের অধীনে নদী’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ ও সেমিনারে বক্তব্যকালে উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে দেশের নদীগুলোর ক্ষয়ক্ষতির ওপর আলোকপাত করতে পিআইবি এবং রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরডিআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজাজ।
ফ্যাসিবাদী সরকার নদীকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে ফরিদা আক্তার বলেন, আরো বলেন, জোরপূর্বক গুম করা লোকদের লাশও নদীর পানিতে ভাসতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, অবৈধ জমি দখলের কারণে নদীতে প্রাকৃতিক পানির প্রবাহ কমে গেছে, যার ফলে নদীর বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে।
ফরিদা আক্তার বলেন, তারা (আ.লীগ সরকার) উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র ও পরিবেশ ধ্বংস করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদী উন্নয়ন নীতি ও রাজনীতির কারণে দেশের প্রকৃতি ও নদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার নির্লজ্জভাবে সীমাহীন দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে প্রতিটি সেক্টরে হস্তক্ষেপ করেছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, নদী, কৃষি ও পরিবেশ নিয়ে সরকারকে জাতীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে।
এ বিষয়ে আলোচনা করে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপরও জোর দেন তিনি।
ঢাকার চারটি নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব থেকে নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নাহিদ বলেন, নদী দখলকারীদের প্রতিহত করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ নীতিমালা প্রণয়নের সময় নদী সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
নদী দখলকারীদের বিচারের আওতায় আনতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিক ইফতেখার মাহমুদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কক্সবাজারের কর্মী এইচ এম নজরুল ইসলাম, টেকসই জ্বালানি কর্মী মানিক হোসেন, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও পশুর নদীর পানি রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর আলম শেখ প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।