শিরোনাম
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশে হেপাটোলজির প্রতিকৃৎ হিসেবে খ্যাত অধ্যাপক ডা. মবিন খানের দাফন আজ কুমিল্লায় সম্পন্ন হয়েছে।
ডা. মবিন খান বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়েস হয়েছিল ৭৬ বছর।
আজ সকাল ১১টায় অধ্যাপক মবিন খানের প্রথম জানাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রাঙ্গণে এবং বাদ জুমা তার দ্বিতীয় জানাজা ধানমন্ডি ৭ নম্বরের সড়কের বায়তুল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কুমিল্লায় সদর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। তিনি আনন্দপুর কলেজ, আনন্দপুর কোরানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে বাদ মাগরিব তাকে দাফন করা হয়।
ডা. মুবিন খানের বিরামহীন প্রচেষ্টাতেই তৎকালীন ঢাকার আইপিজিএমআরে (পিজি হাসপাতালে) মেডিসিন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত লিভার ওয়ার্ড চালু হয়। পরবর্তী সময় পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে লিভার বিভাগ চালু হয়।
মবিন খানের প্রচেষ্টাতেই লিভার বিষয়ক চিকিৎসাসেবা এ অঞ্চলের গণমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। এ জন্য জাতীয় অধ্যাপক মরহুম প্রফেসর নূরুল ইসলাম তাঁকে ‘ফাদার অব লিভার অব বাংলাদেশ’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাবান চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রফেসর মবিন খানের দীর্ঘ গবেষণা ও অভিজ্ঞতালব্ধ গ্রন্থ ‘জন্ডিস ও লিভারের নানা রোগ’ প্রকাশিত হয়েছে।
এ কালজয়ী গ্রন্থের মাধ্যমে সাধারণ পাঠক যেমনিভাবে লিভার ও লিভারের নানা রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন, তেমনি লিভার বিষয়ের ছাত্রদের সামনেও উন্মুক্ত হবে নতুন দরজা। আশা করা যায়, এ গবেষণাগ্রন্থ বাংলা ভাষার চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করবে।
প্রয়াত ডা. মবিন খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
হেপাটোলজি সোসাইটির ওয়েবসাইটে ডা. মবিন খানকে ‘ফাদার অব হেপাটোলজি ইন বাংলাদেশ’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশে হেপাটোলজির জনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লিভার রোগ গবেষণায় তাঁর অবদান অপরিসীম।
বাংলাদেশে লিভার চিকিৎসার পথিকৃৎ অধ্যাপক মবিন খান ১৯৪৮ সালের ৩১ মে জন্মগ্রহণ করেন।
দেশ বরেণ্য লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. মুবিন খানের মৃত্যুতে পিস ফোরামের চেয়ারম্যান, লেখক গবেষক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং শোকাহত স্বজন-গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।