শিরোনাম
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত ও বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের নিয়ে আজ বরিশালে 'জাতীয় নাগরিক কমিটি'র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেল ৩টায় বরিশাল আইনজীবী সমিতির এনেক্স ভবনের মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, ড. মাহমুদা মিতু ও ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। এ ছাড়াও শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সংগঠক, আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, আন্দোলনকারী, শ্রমিকসহ অন্যান্যরা।
মতবিনিময়ের শুরুতে আহতদের ফুল দিয়ে বরণ করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহিদ শাওন শিকদারের ভাই মারুফ শিকদার তার বক্তব্যে বলেন,‘ আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে আমরা চাই সবার অধিকার নিশ্চিত হোক, ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
আন্দোলন করতে গিয়ে ১৭ জুলাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে এক চোখের দৃষ্টি হারানো বেলাল হোসেন বলেন, ' আমার চোখের এখনো পূর্ণ চিকিৎসা হয়নি, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমি ফলে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, 'জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুই হাজারের অধিক শহিদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দিব না।
বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, 'যারা আহত কিংবা শহিদ হয়েছে, তারা এদেশের শাসক হতে চায়নি; তারা দেশের মানুষ খাদ্যের অধিকার চেয়েছে, শিক্ষার অধিকার চেয়েছে, কথা বলার ও বেঁচে থাকার অধিকার চেয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে জুলাই অভ্যূত্থান এর শহিদদের আকাংঙ্খাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। এতদিন শাসক ও ব্যবসায়ীরা রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণ করেছে, এখন থেকে এই গেইমের নিয়ামক আপনারা, আমরা, তথা জনগণ ঠিক করবে; এটাই আমাদের নতুন রাজনীতি।"
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে কাজ করা নাগরিক কমিটির সদস্য ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, শহিদদের পরিবার ও আহতরা আমাদের অগ্রাধিকার। সকল তথ্য হালনাগাদ করে শহিদদের তালিকা করতে বিলম্বিত হয়েছে। সামনে দ্রুত কাজ হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরিশাল জেলা সংগঠক শাকিল মৃধা ও আবু সাঈদ মূসা।