শিরোনাম
ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে ।
আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নূরজাহান বেগম বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সঠিক চিকিৎসাটা দেয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আহত তিনজনকে ইতোমধ্যে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরো দুজনের কথা বলা হচ্ছে। এরপর আরো ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘আমার দিক থেকে এবং মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে যেটা সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম আর আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল ভিজিট করে দেখেছি আহত অনেকেই দুই চোখই হারিয়েছেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য চীন, নেপাল, ফ্রান্স থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন। থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া রেডি করে রেখেছে। যাদের কর্নিয়া স্থাপন প্রয়োজন হবে তাদের জন্য এসব কর্নিয়া ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
নূরজাহান বেগম বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। এটা আমাদের পুরো জাতির বিষয়।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, শিশু বিভাগ, আইসিইউ, ইসিজি রুম, অবজারভেশন রুম, ল্যাবরেটরিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।