বাসস
  ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৪৩

অক্টোবরে গুমের ঘটনা নেই, কমেছে কারা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ‘মানবাধিকার প্রতিবেদন অক্টোবর-২০২৪’ এ বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে দেশে গুমের কোন ঘটনা পাওয়া যায়নি এবং কারা হেফাজতের নির্যাতন ও মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

মানবাধিকার কমিশনের অক্টোবর মাসের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। 

নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহ পর্যবেক্ষণ করে প্রতি মাসে মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। 

কমিশনে গৃহীত অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায় এই মাসে গুমের কোন ঘটনা পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছর আগে সংঘটিত গুমের অভিযোগ এ মাসে দায়ের করা হয়েছে। কারা হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যুও কমেছে।

গত মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ তাদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম হয়ে পড়ে, ফলে মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন।

এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলাগুলোর মধ্যে কিছু মামলাতে বিভিন্ন দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের ঢালাওভাবে আসামী করা হয়েছে মর্মে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টাসহ, জমিদখল ও অন্যান্য কারণে অক্টোবর মাসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় ২৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রতিটি নির্যাতনের ঘটনাতেই প্রশাসনের আইনগত তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখিত বিভিন্ন ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ আমলে নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ সকল অভিযোগ ও একইসাথে কমিশনে দায়েরকৃত অভিযোগসমূহ প্রতি সপ্তাহে বেঞ্চে আলোচনা করা হয়, প্রয়োজনে তদন্ত করা হয় এবং সরকার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ ও নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের প্রতিকার প্রদান করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সর্বোপরি কমিশন মনে করে, সরকারের সকল সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং অন্যান্য অংশীজনসহ সকলে সচেতন হলে মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।