শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১০ নভেম্বর ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ডেঙ্গুর রেড জোন ঘোষিত নগরীর বাকলিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আজ রোববার সকাল থেকে নগরীর ডেঙ্গুর রেড জোন পূর্ব ও পশ্চিম বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র বিভিন্ন খাল-নালায় পানি জমে থাকা স্থানগুলোতে দাঁড়িয়ে পানির উৎস সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে ধারণা নেন। তিনি তাৎক্ষণিক অপসারণযোগ্য বাধাগুলো সরিয়ে ফেলতে তার সঙ্গে থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন টিমকে নির্দেশ দেন এবং মশার বিস্তার রোধে ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা নেন।
পূর্ব বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দুপুরের দিকে মেয়র পশ্চিম বাকলিয়ার বড় কবরস্থান এলাকায় অবস্থিত খাল পরিদর্শন করেন।
মেয়র সেখানে আকস্মিক পরিদর্শন গেলেও তার আগমনের খবরে প্রতিটি স্থানে শত শত স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হন এবং মেয়রকে কাছে পেয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তাকে অবগত করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেও বুধবার সকাল থেকে তিনি সিটি মেয়র হিসেবে নিয়মিত অফিস শুরু করেছেন। সে হিসাবে মাত্র দুই কার্যদিবসে মেয়র শাহাদাত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে মেমন হাসপাতালে বিশেষ সেল গঠন করে ডেঙ্গুর ফ্রি পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।
এরআগে পূর্ব বাকলিয়ার কালামিয়া বাজারে মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম ও পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করেন মেয়র।
এ সময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মেয়র শাহাদাত বলেন, মশক নিধন অভিযান আরও জোরদার করা হবে। ওষুধের গুণগতমান ল্যাবে টেস্ট করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করবো না।
সিডিএ, ওয়াসা, টিএন্ডটি, পিডিবি, কর্ণফুলী গ্যাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবাদানকারী সংস্থাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য পরামর্শ দেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র আরও বলেন, এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখেছি। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। যেসব রাস্তাঘাট জনদুর্ভোগের কারণ হচ্ছে সেগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে। জলাবদ্ধতার মূল কারণ হচ্ছে নালা-নর্দমা অপরিষ্কার। এ শহর আমার একার নয়, সবার। তাই আমাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।