শিরোনাম
রাঙ্গামাটি, ১০ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ কাপ্তাই লেক হচ্ছে দেশের অন্যতম একটি মৎস্য ভান্ডার। এর সাথে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত।
আজ রোববার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে অংশীজনদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কাপ্তাই লেকে পলি যেভাবে বাড়ছে, এতে করে লেকের গভীরতা অনেক কমে গেছে। কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য তিনি যথাসাধ্য কাজ করে যাবেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ ছিল এই কাপ্তাই বাঁধ। আবার এ কাপ্তাই হ্রদ থেকেই আয় হচ্ছে এখন চার হাজার কোটি টাকা। এই আয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং- এর মাটি দিয়ে ড্যাম তৈরি করে বহুমুখী আয়বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে।
তিনি বলেন, পানি প্রবাহ কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না। মাছের উৎপাদন ও মানুষের জীবন ও জীবিকা বাড়াতে কাপ্তাই লেকে পানি বাড়াতে হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আকতার, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের, পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
সভার শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে আলাদা আলাদা প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা।