শিরোনাম
ঢাকা, ১০ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় পুলিশ স্টাফ কলেজে মানিলন্ডারিং ও কাউন্টার থ্রেট ফাইন্যান্স (এএমএল/সিটিএফ) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের নেতৃত্বে এবং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব কাউন্টার টেরোরিজমের অর্থায়নে এই উদ্যোগের লক্ষ্য আর্থিক ও সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের তদন্ত ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আনুষ্ঠানিক সেমিনার, অনলাইন প্রশিক্ষণ এবং ব্যবহারিক অনুসন্ধানী অনুশীলনের সমন্বিত এক বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ উদ্যোগের সূচনা উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১১টি সংস্থার ৬০ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় সীমান্তে তৎপর অপরাধী চক্রগুলোর অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে, আমরা এই চক্রগুলোকে প্রতিহত করতে পারি এবং আমাদের নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপদ, আরও সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আর্থিক অপরাধ, মানব পাচার ও সন্ত্রাসবাদসহ বহুমুখী হুমকি মোকাবেলায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বছরব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেসিং, প্রমাণ সংগ্রহ এবং মামলা উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করাসহ আর্থিক তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই কর্মসূচি আর্থিক অপরাধ ও সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা জোরদারের মাধ্যমে একটি নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং আরও সুরক্ষিত বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
২০১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট, সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলা, নেতৃত্ব এবং মানবাধিকারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ২৫ সহ¯্রাধিক বাংলাদেশি পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রায় ২৫০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণে সহায়তা দিয়ে আসছে।
এই বিশেষায়িত প্রশিক্ষন সেশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ভার্চুয়াল কারেন্সি তদন্ত এবং সোশ্যাল মিডিয়া কৌশলের মতো বিষয়গুলো। এছাড়া রয়েছে- ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব চিফস অব পুলিশ কনফারেন্স এবং উইমেন’স লিডারশিপ ইনস্টিটিউটের মতো প্রোগ্রামের মাধ্যমে অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের সুযোগ ।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা আইন প্রয়োগ ও সংশোধনে বাংলাদেশের সক্ষমতা জোরদার করেছে, পেশাগত উন্নয়নকে উৎসাহিত করেছে এবং দেশজুড়ে নিরাপত্তা অনুশীলন বাড়িয়েছে।