বাসস
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬

রিসিভার নিয়োগের বিরুদ্ধে বেক্সিমকো ফার্মার আবেদনের আদেশ কাল

ঢাকা, ১১ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ কাল।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আদেশের জন্য আজ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। বেক্সিমকোর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম. কামাল ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।

গত ২৫ বছরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অন্য সব ব্যবসার ঋণের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান আবেদনকারী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের অন্য সব ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ ঋণ অপরিশোধিত আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা ও পরিশোধের তথ্য দিতে এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত করে সে সব সম্পদের ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগ বিষয়ে রুলসহ আদেশ দেয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত করে তা ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দেশে পোশাক রপ্তানি ও ওষুধ উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বেক্সিমকো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীসহ সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা গ্রেফতার হচ্ছেন। সালমান এফ রহমানও বিভিন্ন মামলায় এখন কারাবন্দী রয়েছেন।