শিরোনাম
নাটোর, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জেলার হাট-বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে।খুচরা বাজারে এখন কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে একশ থেকে একশ বিশ টাকা কেজি দরে। ফলে ক্রেতা পর্যায়ে স্বস্তি ফিরেছে।
এক মাস আগে কাঁচামরিচের বাজার অস্থিতিশীল ছিলো। ঐ সময় প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দর বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে চারশ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কাঁচামরিচের বাজার এখন স্থিতিশীল হয়েছে। আবাদী জমিতে খরিপ-২ মৌসুমের মরিচ বাজারে আসতে শুরু করেছে, আবাদ হচ্ছে রবি মৌসুমের কাঁচামরিচ। তাই আগামীতে দাম আরো কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ শহরের বৃহত্তম ষ্টেশন বাজার আড়তে কাঁচামরিচের পাইকারি দর ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। আড়তদার মঈনুদ্দিন জানান, এখন সরবরাহ বেশী, তাই দাম কমেছে। নীচাবাজারের আড়তদার বাবু জানান, আজ পাইকারি দর গড়ে ১০৫ টাকা। নীচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, আজ কাঁচামরিচ বিক্রি করছি ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। আমরা কিনেছি ১০৫ আর ১১০ টাকা দরে।
সিংড়ার হতিয়ানদহ হাট, বড় সাঁঐল বাজারে কাঁচামরিচ গড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। শহরের মাদ্রাসা মোড় বাজারের খুচরা দোকান থেকে আজ আধা কেজি কাঁচামরিচ ৫৫ টাকায় কিনেছি বলে জানান কলেজ শিক্ষক ক্রেতা আহমেদুল কবীর চঞ্চল।
জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, আজ জেলায় কাঁচামরিচের পাইকারী বাজার দর ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, খুচরা বাজার দর ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময়ে বাজার দর প্রায় একই পর্যায়ে ছিলো।
নাটোরে খরিপ-১, খরিপ-২ এবং রবি অর্থাৎ তিনটি কৃষি মৌসুমেই কাঁচামরিচ আবাদ হয়। খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় ২৩৩ হেক্টর আবাদী জমি থেকে ৮১৭ টন শুকনো মরিচের ফলন পাওয়া যায়। খরিপ-২ মৌসুমে ১৩৮ হেক্টর আবাদী জমির মধ্যে ২০ হেক্টর জমির মরিচ উত্তোলন করা হয়েছে। শুকনো মরিচ হিসেবে ফলন পাওয়া গেছে ৮২ টন। চলমান রবি মৌসুমে জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হবে বলে কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অতিবৃষ্টি এবং বৃষ্টি পরবর্ত্তী ক্ষয়ক্ষতির কারনে কাঁচামরিচ আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জেলার চলনবিল এলাকার কৃষক আতিকুর রহমান জানান, পাঁচ কাঠা জমিতে মরিচ আবাদ করেছিলাম, সবই পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি অন্তত দেড় লাখ টাকা। এখন পানি নেমে গেছে, রবি মৌসুমের মরিচ নতুন করে রোপন করবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বর্ষা মৌসুমের শেষে কাঁচামরিচের বাজার দর উর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। কারন বন্যা বা অতিবৃষ্টির কারণে নীচু জমিতে মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই সময়ে অর্থাৎ খরিপ-২ মৌসুমে মরিচের আবাদ
তুলনামূলক উঁচু জমিতে করার জন্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি আমরা। আশাকরি আগামী বছর এর সুফল পাওয়া যাবে।