শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ১৭ নভেস্বর থেকে আমন ধানের সংগ্রহ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এ বছর উত্তরাঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এটা আল্লাহর রহমত এবং অশেষ মেহেরবানি। ধারণ ক্ষমতা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত খাদ্য সংরক্ষণের জন্য এগুলো ঢাকার তেজগাঁও বা অন্যান্য দিকে নিয়ে আসা হবে।’
আজ খাদ্য অধিদপ্তরের এক সভায় খাদ্য আমদানি বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু খাদ্য আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেড় লাখ টন খাদ্য আমদানির জন্য ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ভালো আগ্রহ দেখছি। গত ১ সপ্তাহ পর্যন্ত চালের দাম যতটুকু বেড়েছে আপাতত তা স্থিতিশীল রয়েছে। আমন ধান বাজারে আসলে দাম কমবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা যাবেনা।
খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিকটন, আতপচাল ১ লাখ মেট্রিকটন এবং ধান সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিকটন। চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা প্রতি কেজি, আতপ চাল ৪৬ টাকা প্রতি কেজি এবং ধান ৩৩ টাকা প্রতি কেজি।
মিল মালিকদের সিন্ডিকেট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে তাদের কালো তালিকাভূক্ত করে ভবিষ্যতে তাদের সাথে আর চুক্তি করা হবেনা। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকবে এবং প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। এখন ছোট মিলগুলো বড় মিলে রূপান্তরিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে চুক্তি কমে যাবে। মিলগুলো আজ বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।
ভোগান্তির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সরকারকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, সরকার প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।
চালের বাজার কর্পোরেট গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে কিনা এ বিষয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চাল আমদানি নির্ভর না, চালের চাহিদা ও উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি।
চাল আমদানিতে সরকার কতজনকে অনুমতি দিয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সরকার ১৩৪ জন ব্যবসায়ীকে ১০.৫২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।