শিরোনাম
সাভার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন,‘জুলাই-আগস্ট’ বিপ্লবে আহতদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। কারণ আহতদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের ত্যাগের কারণেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাভারে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রাণিসম্পদ গবেষণার জাতীয় প্রতিষ্ঠান-বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বিজ্ঞানী-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ফরিদা আখতার বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে আমরা শপথ নিয়েছি দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য। দেশে অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিপ্লবের মাধ্যমে এসেছে এবং আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এতে শহিদদের অবদান আছে।
এর আগে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় জাতের প্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিএলআরআই’কে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশীয় অনেক জাতের প্রাণী এখন বিলুপ্তপ্রায়। এসব জাত যাতে পুরোপুরি বিলুপ্ত না হয়ে যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএলআরআই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। খরচ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করলে আমাদেরকে বাইরে থেকে মাংস বা ডিম আমদানি করতে হবেনা।
গ্রামীণ নারী খামারিদের প্রসংশা করে তিনি বলেন, “গ্রামীণ নারীরা প্রাণীর চরিত্র বোঝেন। কোন প্রাণীর আচরণ কেমন, কোন গরু কেমন দুধ দেয়, কোন গরুর দুধের স্বাদ কেমন, কোন মুরগি কেমন ডিম দেয় সেসবই তারা জানেন।” এসময় তিনি বিএলআরআই’র নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, প্রাণিসম্পদ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদেরও ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শাহীনা ফেরদৌসী।
মতবিনিময় শেষে উপদেষ্টা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণাগার ও খামার পরিদর্শন করেন। উপদেষ্টার পরির্দশন করেন- ট্রান্সবাউন্ডারি এ্যানিমেল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের ভ্যাকসিন এন্ড বায়োলজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি, দেশি মুরগির খামার, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার, মহিষ খামার, বিএলআরআই ফডার জার্মপ্লাজম ব্যাংক এবং রেড চিটাগাং ক্যাটেল (আরসিসি) গরুর গবেষণা খামার।