বাসস
  ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৩

বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি কমনওয়েলথের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস গ্যাব্রিয়েল ফ্রান্সেচি ‘বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ’ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার বিষয়ে কমনওয়েলথের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ফ্রান্সেচির নেতৃত্বে কমনওয়েলথের একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অধ্যাপক ফ্রান্সেচি অন্তর্বর্তী সরকারের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করতে চার দিনের সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

তিনি গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য নানা পদক্ষেপসহ চলমান সংস্কারমূলক উদ্যোগে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো আন্তর্জাতিক সমর্থন কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এককভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। মর্যাদা ও অধিকার দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন হচ্ছে এ সমস্যার একমাত্র কার্যকর সমাধান।’

কমনওয়েলথ সহকারী মহাসচিব এ সংকট সমাধানে কমনওয়েলথের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই মানবিক সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আলোচনাকালে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরেন যে আন্দোলন স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে।

তিনি অতীতের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়া প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পদক্ষেপগুলোর রূপরেখাও তুলে ধরেছেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে এবং সংস্কার প্রচেষ্টার জন্য কমনওয়েলথের অব্যাহত সমর্থন কামনা করে। 

অধ্যাপক ফ্রান্সেচি এ ছাড়াও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদের সাথেও দেখা করেন। 

এ সময় সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।  

তিনি প্রতিনিধিদলকে আন্দোলনে আহতদের বিষয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং কাউন্সেলিং, পুনঃশিক্ষাদান ও থেরাপির জন্য কমনওয়েলথের সহায়তা চান।