শিরোনাম
খাগড়াছড়ি,২১ নভেম্বর,২০২৪ (বাসস) : জেলার দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম লম্বাছড়া গ্রামে স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ করা হয়েছে।
ছবির মতো সুন্দর লম্বাছড়া গ্রাম। আশপাশে ১৫টি গ্রাম থাকলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল না কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়লেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অনেকে শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে যায়। মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধে এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসন।
২০২৩ সালে ডিসেম্বরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।নাম রাখেন জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ,লম্বাছড়া,দিঘীনালা। বছর না ঘুরতেই বিদ্যালয়ের নতুন পাকা ভবনে পাঠদান শুরু হয়।অবশেষে শিক্ষার আলো পৌঁছলো দুর্গম লম্বাছড়া গ্রামে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ডাক্তার নয়নময় ত্রিপুরাসহ কয়েকজন শিক্ষানুরাগীর প্রচেষ্টায় বছর না ঘুরতে ঐ গ্রামে স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণ করে মাধ্যমিক স্তরে পাঠদান। এ নিয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাযায়,দুর্গম এলাকার শিক্ষা ,স্বাস্থ্য ও সড়ক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।দুর্গম এলাকা হওয়ায় এ জনপদে ঝরা পরার শঙ্কা বেশি।এ লক্ষ্য কে সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসন এখানে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে । যাতে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন সাধিত হয়। আশপাশে ১৫টি গ্রাম থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল না কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে গ্রামের শিশুরা প্রাথমিক শেষ করার পর অনেকে শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে যেতো।
বিষয়টি নজড়ে আসে জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামানের। গ্রামের শিক্ষানুরাগিরাও এগিয়ে আসেন। ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে লম্বাছড়া স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসন।বছর না ঘুরতেই চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে নতুন পাকা ভবনে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৪২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে কলেজ পর্যায়ে ক্লাস শুরু হবে।সম্প্রতি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। লম্বাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণে জেলা প্রশাসনের ব্যয় হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন পর গ্রামের পাশে স্কুল হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ।
এখন আবাসিক ভবন তৈরিসহ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হবে । যাতে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করতে পারে। পর্যায়ক্রম এ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তর করা হবে এমন পরিকল্পনা জেলা প্রশাসনের।
এদিকে লম্বাছড়া স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১ একর জমি দান করেন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার নয়নময় ত্রিপুরা ও তার মা শান্তি বালা ত্রিপুরা। শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধ করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা বলছে লম্বাছড়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবরণ ত্রিপুরা।
দীঘিনাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধ করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি লম্বাছড়া দুর্গম গ্রামে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে আবাসিক ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।