শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : আজারবাইজানের বাকুতে চলমান কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে সৌদি আরবের এক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সম্মেলনে আলোচনাপত্রে সম্পাদনার মাধ্যমে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করার অভিযোগে সৌদি আরবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বেশ কিছু দেশ।
সাধারণত কপের আলোচনাপত্র পিডিএফ আকারে সকল দেশের কাছে একসাথে পাঠানো হয় যাতে কেউ সরাসরি এতে সম্পাদনা করতে না পারে। তবে এইবার একটি নির্দিষ্ট অংশে সৌদি প্রতিনিধির সরাসরি পরিবর্তন করার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সম্মেলনে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
আজারবাইজানের সভাপতিত্বে আজ সকালে প্রকাশিত খসড়া আলোচনাপত্রে ‘জাস্ট ট্রানজিশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম’-এর নতুন আপডেট ছিল। এতে লক্ষ্য ছিল, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়া।
কিন্তু খসড়ায় ‘ট্র্যাকড চেঞ্জেস’-এর মাধ্যমে দেখা যায়, সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বাসেল আলসুবাইতি সরাসরি কিছু অংশ পরিবর্তন করেছেন। এমনকি একটি অংশ সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেশগুলোকে জাতীয় নির্ধারিত অবদান বা এনডিসিসি, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বা ন্যাপ, এবং দীর্ঘ-মেয়াুদি নিম্ন কার্বন ভিত্তিক উন্নয়ন বা এলটিএলইডিএস বাস্তবায়নের সময় ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তনের পথ বিবেচনার উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায় তেল-নির্ভর দেশগুলোর ভূ-রাজনীতির বিরুদ্ধে ফেটে পড়েন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবক। তিনি এই ঘটনার আগে এক বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা কয়েকটি তেল নির্ভর দেশের শক্তিশালী প্রভাবের মধ্যে আছি। আমরা ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে এভাবে বিপদাপন্ন হতে দেব না।’
এদিকে, ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোট আজকের মূল আলোচনায় অংশগ্রহণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি- কপ২৯ সভাপতিত্বের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে তাদের সাথে আলোচনা করা হয়নি।
ক্লাইমেট সোশ্যাল সায়েন্স নেটওয়ার্কের ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সৌদি আরব বিগত তিন দশক ধরে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় বাঁধা সৃষ্টি করে আসছে।
আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট পলিটিক্স হাবের পরিচালক ক্যাথরিন আব্রু বলেন, ‘প্রত্যেক পক্ষকে একই সাথে আলোচনাপত্র পাঠানো উচিত এবং এটি সাধারণত অপরিবর্তনীয় পিডিএফ আকারে থাকে। কিন্তু বিশেষ কোনো পক্ষকে সরাসরি সম্পাদনার সুযোগ দেওয়া এই সম্মেলনের নীতি ও নিয়মের লঙ্ঘন।’