শিরোনাম
নড়াইল, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জেলার ৩টি উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ কৃষকরা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছেন। শীতের শুরুতে ধান কাটা মওসুমে কৃষকের ঘরে চলছে নবান্নের উৎসব।
গতকাল রোববার পর্যন্ত জেলায় ৭৩ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার আজ সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর আমন খরিপ মৌসুমে ৪২ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে।আবাদ হওয়া জমিতে ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ থেকে ৩টি উপজেলাতেই আমন ধান কাটাতে কৃষকেরা মহা উৎসবে শুরু করেছেন। কৃষকেরা ধান কেটে ওই জমিতে পুনরায় সরিষা,ডালসহ অন্যান্য রবিশস্য চাষ করবেন। ধান কাটার পর ওই জমিতে সরিষা ও ডাল চাষের প্রস্তুতির কাজও শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে এসব রবি ফসল চাষ শুরু হয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে।লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২০হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে।লোহাগড়া উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে।আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে।কালিয়া উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে।আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সৌমিত্র সরকার জানান, আমন ধান চাষ শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ের উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পাশে থেকে সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।এ জেলার মাটি আমন ধান চাষের জন্য উর্বর।ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।