শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ডিমেনশিয়া রোগ নিয়ে দেশে আরো গবেষণা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১১ লাখেরও বেশি ডিমেনশিয়ার রোগী রয়েছেন। ডিমেনশিয়ার ব্যাপারে আমাদের আরো গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। আমরা সঠিক চিত্রটি পেলে ডিমেনশিয়া নিয়ে ঠিকমতো আগানো যাবে।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় উদ্যোগে ডিমেনশিয়া যত্ন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক’ সেমিনারে একথা বলেন।
উল্লেখ্য, ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের একটি ক্ষয়জনিত রোগ। এ রোগে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি, স্মৃতিশক্তি এবং ব্যক্তিত্বের ধরন পরিবর্তন হয়ে যায়। সাধারণত ৬৫ বছর বয়সের পর ডিমেনশিয়া সমস্যাটি শুরু হয়।
নূরজাহান বেগম বলেন, ডিমেনশিয়া রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার জন্য কোন জিনিসটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে আন্তরিকতা নিয়ে রোগীকে বুঝা, তার কষ্টটুকু নিজের মতো করে উপলব্ধি করা। রোগীর সেবা যত্ন যিনি করবেন তার ভেতর যাতে এ বোধটা তৈরি হয়, সেটা নিয়ে ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ আমাদের খুবই দরকার।
ডিমেনশিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা ডাক্তার, নার্সদের বিভিন্ন রকমের ট্রেনিং দেই। আমরা নিজেরা ট্রেনিং নিয়ে থাকি।
কিন্তু মানবিক ট্রেনিং কতটুকু গ্রহণ করি। মানুষের হৃদয় স্পর্শ করার ট্রেনিং কতটুকু আমরা দিচ্ছি। আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা যদি সভা, সেমিনার, গ্রামগঞ্জে বাড়ি বাড়ি যাই এবং ডিমেনশিয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করি তাহলে এর সুফল আমরা পাবো।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মশালাগুলো উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মসজিদে, মাদ্রাসায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এই আয়োজনটা আমাদের করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সাহায্য যদি লাগে দেয়া যাবে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ আজিজুল হক।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।