শিরোনাম
বগুড়া, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): নিহতের ৩ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে বগুড়ায় ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ রিপন ফকিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদিঘি ফকির পাড়া এলাকায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়ন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম ও জাহিদ হাসানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। গত ৪ আগষ্ট বগুড়া শহরের ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন ফকির।
বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন হত্যা মামলার সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য গত ২৮ অক্টোবর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ চেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যদায় মরদেহ পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় মরদেহটি ফের দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য আন্দোলনের সময় রিপন ফকিরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম বগুড়া সদর থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।