শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর,২০২৪ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি শতভাগ নিশ্চিত এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ৯টি প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১৪শ’ ২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে ১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
সভায় আরো জানানো হয়, এডিপিভুক্ত ৯টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ, ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধকালে মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, বীরের কণ্ঠে বীরগাথা শীর্ষক প্রকল্প, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল ও দেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহে স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণ।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে নিবিড় মনিটরিং ও টিমওয়ার্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রকল্প পরিচালকরা এ সময় প্রকল্পগুলোর কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।