বাসস
  ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২৮

গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে : উপাচার্য

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের রক্তমাখা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাঠ্যসূচিতে এর ইতিহাস অন্তর্ভুক্তি করতে সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমারাই) জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের ২৫ শহিদ শিক্ষার্থী পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শহিদ আবু সাইদ ও শহিদ মীর মুগ্ধসহ অন্যান্য শহিদের নামে স্মৃতি ফলক, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরী ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শহিদ স্মৃতি চিরস্থায়ীভাবে ধারণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজসমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। 

এছাড়াও বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিদ্দিক জোবায়ের, বিশেষ অতিথি হিসেবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, শিক্ষাখাতে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সকল শিক্ষার্থী পরিবারের যেকোন যৌক্তিক দাবী মেটাতে আমরা পাশে আছি ও থাকব।

এছাড়া সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, তার মতো যেন কোন ভাই, বোন, মা ও বাবা কে স্বজনহারা হতে না হয়। তিনি স্বজন হারানো এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকার ও এদেশের সকলকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে অধিভুক্ত কলেজের শহিদ শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৫টি পরিবারকে তিন লাখ করে টাকার চেক দেওয়া হয়। এছাড়াও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ করে টাকার চেক দেওয়া হয়।