বাসস
  ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৭
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১৭

ঢাকায় লোক জড়ানোর অভিযোগে ৩টি মামলা

লক্ষ্মীপুর, ২৭ নভেম্বর,২০২৪ (বাসস):জেলায় বিনাসুদে লাখ টাকার প্রলোভনে ঢাকায় লোক জড়ানোর অভিযোগে সদর.রামগতি ও কমলনগর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। সদর থানার মামলায় প্রতারক সিন্ডিকেটের সদস্য নুর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম,কমলনগর থানার মামলায় সাহাবুদ্দিন মিয়া ও মাহফুজ আলম ও রামগতির হাসিনা আক্তার,শিরীন আক্তার ও শিক্ষক মো. জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এ চক্রের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিলেই মিলবে সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ। এমন প্রলোভনে ঢাকায় যাত্রাকালে রোববার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর ও সদরে ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ স্থানীয় জনতা ও পুলিশের হাতে আটক হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর  সদস্যরা।

পরে পুলিশ ৬টি মাইক্রোবাস, ৭টি বড়বাসসহ শতাধিক ব্যাক্তিকে আটক করে। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতারণার মামলায় রামগতিতে সিন্ডিকেটের  তিনজন,কমলনগরে দুইজন ও সদরে স্বামী-স্ত্রীসহ ৭জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঘটনার  সঙ্গে জড়িত না থাকায় অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে রামগতি থানায়  ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০জনে অজ্ঞাত আসামী করে আবু ইউসুফ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সদর থানায় মামলা করেন সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের বাসিন্দা নজির উল্লাহর ছেলে মো. সেলিম। এ মামলায় আসামী করা হয় ২৮জনকে। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম এজাহারে থাকলেও ২৫জন অজ্ঞাত রয়েছে। এছাড়া কমলনর উপজেলার বাসিন্দা ওমর ফারুক বাদী হয়ে ৩৫জনকে আসামী করে থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন।

রামগতি,সদর ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন,আবদুল মোন্নাফ ও মো. তৌহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ৭জনকে দুপুরে  আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৭জনই প্রতারণা সিন্ডিকেটের সদস্য। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।