বাসস
  ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৯

সিলেটে নতুন আমেরিকান কর্নার উদ্বোধন করেছে মার্কিন দূতাবাস

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আজ সিলেটে আমেরিকান কর্নারের নতুন শাখার উদ্বোধন করেছে।

মার্কিন দূতাবাস ও স্থানীয় বাংলাদেশী অংশীদারদের মধ্যে এই যৌথ অংশীদারিত্ব উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে- স্থানীয় সম্প্রদায় ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক, দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা। আমেরিকান স্পেস প্রোগ্রামিং বিভিন্ন থিমের ওপর আমেরিকান মূল্যবোধ, আদর্শ, সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রশস্ততা ও গভীরতা প্রদর্শন করে।

আমেরিকান কর্নারের এই উদ্বোধন বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস ও স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রদর্শন করার পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রচারে তাদের যৌথ প্রয়াসের ওপর জোর দেয়।

যারা শিখতে ও নিজেদের জনগোষ্ঠীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায়, নতুন প্রতিষ্ঠিত সিলেটের আমেরিকান কর্নারটি তাদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করবে আর এটিই এ কর্নারের লক্ষ্য।

বাংলাদেশী ও আমেরিকার সরকারি কর্মকর্তারা,  যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয়রা শেখার ও অন্বেষণের জন্য এই প্রাণবন্ত আমেরিকান শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন উদযাপন করতে একত্রিত হন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর বলেন, ‘সিলেটে আমেরিকান কর্নারের উদ্বোধন করতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। এটি এমন এক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে- যা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতায় জড়িত থাকার স্থায়ী সুযোগ তৈরি করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই আমেরিকান স্পেস স্থানীয় যুবক, শিক্ষার্থি ও তরুণ নেতাদের সাথে আমাদের সংযোগ শক্তিশালী করবে।’

আমেরিকান কর্নারগুলো একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের অংশ- যা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় পরিচালিত সাংস্কৃতিক ও তথ্যকেন্দ্র। কেন্দ্রগুলো বিনামূল্যে এবং উন্মুক্ত তথ্য সম্পদ প্রদান, আমেরিকায় পড়াশুনার সুযোগ সৃষ্টি এবং ইংরেজি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বৃত্তি প্রোগ্রাম পরিচালনা করে।

এটি ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক ছাত্রদের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপরা বৃদ্ধি করে- এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থে তরুণ নেতাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করছে।