শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : রাজধানীতে অনুষ্ঠিত আজ এক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, সুরক্ষিত মাধ্যমে পেশাগত যোগাযোগ করলে নিশ্চিতভাবেই ডিজিটাল হুমকি ও হয়রানি এড়িয়ে চলা সম্ভব, যা নারী সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেতু ট্রেনিং সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ নারী সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের অংশগ্রহণে ‘ডিজিটাল সুরক্ষা ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
‘ভয়েস’ দীর্ঘদিন ধরে, বাংলাদেশের নারী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের কর্মজীবনে চলমান গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, বিশেষত, যারা অনলাইনে হয়রানি, সাইবার বুলিং, স্টকিং, ডক্সিং, ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের আওতায় মামলা, যত্রতত্র গ্রেফতার এবং আটক হওয়ার মত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।
উল্লেখ্য কর্মশালার উপজীব্য ছিল, সাংবাদিক ও নারী অধিকার কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও ব্যবহারিক দিকনির্দেশনার ওপর আলোকপাত করা, যাতে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তার হুমকিসমূহ এবং অনলাইনে বিভিন্ন হয়রানির মোকাবিলা করতে পারেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক কর্মশালায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। তিনি ইমেইল ও বার্তা আদান-প্রদানে এনক্রিপ্টেড বা সুরক্ষিত যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি নারী সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের পেশাগত দায়িত্বপালনের সময়ে বিভিন্ন ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে, বিশ্বজুড়ে বিশ্বস্ত যোগাযোগ সহায়ক হিসেবে পরিচিত ভিপিএন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
কর্মশালায় ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ রেজওয়ান ইসলাম বলেন, ‘প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর দ্রুত জনপ্রিয়তার ফলে সাংবাদিকতা এবং অধিকার সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা এখন অনেকাংশেই ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর নির্ভরশীল। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে যে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োজন তার অভাব থাকায় নারী সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা প্রায়শই অনলাইন হয়রানির শিকার হন।’
কর্মশালায় ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিক ও নারী মানবাধিকারকর্মীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনুসন্ধানী তথ্য থাকে, যার ফলে তারা প্রায়ই বেআইনি নজরদারি বা হ্যাকিংয়ের সম্মুখীন হন। তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষার দক্ষতা নির্মানে ভয়েস বদ্ধপরিকর।’
কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নারী সাংবাদিক ও নারী অধিকারক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।