বাসস
  ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:৫৩
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩

‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আইসিসি’

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জুলাই-আগস্ট সময়কালে গণহত্যার বিষয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (আইসিটি) সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইসিসি'র সিনিয়র ট্রায়াল আইনজীবী এসা এমবাই ফাল বলেন, 'কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও দিক-নির্দেশনা উভয় ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্য করার জন্য আইসিসি সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আইসিসি'র প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খানের বাংলাদেশ সফরের একই সময়ে অনুষ্ঠি ত এ ব্রিফিংয়ে ন্যায়বিচারের জন্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তার বিষয়ে আইসিসি'র প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।

ব্রিফিংয়ে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার কৌঁসুলি করিম খানের সিদ্ধান্তের কথাও ঘোষণা করেন।

তিনি রোহিঙ্গা-সংশ্লিষ্ট নৃশংসতার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কৌঁসুলি দপ্তর যে সহায়তা পেয়েছে তা অসাধারণ। তাদের সহযোগিতা আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং আমাদের উদ্দেশ্যাবলি অর্জন উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ করেছে।

বাংলাদেশের আইসিটি'কে সহায়তা করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ফাল আইসিসি'র সহায়তা প্রদানের সদিচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে এক বিবৃতিতে আইসিসি'র প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান, প্রি-ট্রায়াল চেম্বার ওয়ানে মিয়ানমারের সামরিক নেতা, সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

একটি সার্বিক, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের পর খানের দপ্তর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে মিন অং হ্লাইং, যিনি মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডার-ইন-চীফ এবং মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, মানবতা বিরোধী অপরাধের 'ফৌজদারি  দায়' বহন করেন তা বিশ্বাস করার 'যুক্তিসঙ্গত কারণ' রয়েছে।

এটি আইসিসি প্রসিকিউটর অফিস কর্তৃক দায়ের করা মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রথম আবেদন।

১৪ নভেম্বর, ২০১৯ সাল থেকে আইসিসি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দফায় দফায় নৃশংসতা থেকে উদ্ভূত অভিযোগগুলো তদন্ত করছে। এই নৃশংসতার ফলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।