শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বিগত ১৫ বছরে বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের একটি মামলায় রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের ও র্যাব-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে আগামী ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেয়।
তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরে পরোয়ানা জারির আবেদন করে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বাসসকে ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, 'আজ ট্রাইব্যুনালে তাদের প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল আগামী ২ ডিসেম্বর তাদের হাজির করতে নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ভবন মেরামতের কাজও শেষ পর্যায়ে। গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশত ২৫টির বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। আর ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটরসহ প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থা নিয়োগ দেয়া হয়। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামীলীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গনহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত করে। জাজ্জ¦ল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।