বাসস
  ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:২৬
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩৬

বাংলাদেশের কৃষি প্রকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করবে ইফাদ : আলভারো ল্যারিও

ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট ড. আলভারো ল্যারিও বলেছেন, কৃষি খাতের বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিপ্রক্ষিতে আইএফএডি কৃষি-খাত সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।

ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের স্থায়ী প্রতিনিধি রকিবুল হক গত ২৬ নভেম্বর রোমে আইএফএডি’র সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে সেখানে তাৎক্ষণিক এক বৈঠকে ইফাদ’র প্রেসিডেন্ট ড. আলভারো ল্যারিও স্থায়ী প্রতিনিধিকে এ কথা বলেন।

আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ওই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের অবগতির জন্য উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইফাদ’র অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোতে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও সামাজিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে ‘সামাজিক ব্যবসা’ প্রবর্তনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। 

রকিবুল হক বলেন, ইফাদ’র অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমুহে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী ও যুব সম্প্রদায়ের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’র অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। 

রাষ্ট্রদূত টেকসই গ্রামীণ কৃষি অবকাঠামো বিনির্মাণ, কৃষি পণ্যের সুষম ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস’র ‘সামাজিক ব্যবসা’র ধারণা ইফাদ’র কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।

রকিবুল হক বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ‘ইফাদ’ বাংলাদেশের টেকসই কৃষি উন্নয়নে কাজ করছে এবং দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় কৃষি প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, কৃষি ক্ষেত্রে সহনশীল কৃষি-জাত উদ্ভাবন এবং টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে ‘জলবায়ু তহবিল’ থেকে অর্থায়ন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা থেকে অর্থায়নে ইফাদ’র অধিকতর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। 

রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশে কৃষির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ইফাদ’র সহজ শর্তে ঋণ এবং অনুদান বাড়ানোরও অনুরোধ জানান।

ড. আলভারো ল্যারিও রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে ইফাদ’র সকল কার্যক্রমে বাংলাদেশের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্জিত সাফল্যসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপ এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প’রও প্রশংসা করেন। 

এ সময় ইফাদ’র প্রেসিডেন্ট কৃষি খাতের বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল হতে প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন বলেও রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।