শিরোনাম
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদা দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান-আন্দোলনের মহীরুহের নাম। তত্ত্বীয় কাঠামোয় বিজ্ঞানকে সীমাবদ্ধ না রেখে এর প্রয়োগিক রূপ উপস্থাপন করে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন।
আজ বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বিজ্ঞানী মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
‘ড. কুদরাত-এ-খুদা : একজন আলো দেখানো মানুষ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানবক্তা আসিফ। কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান লেখক সুব্রত বডুয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, আমাদের সামাজিক পরিসরে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা কমই হয় আর এদেশের মানুষের মননে জাতীয় নায়ক হিসাবে যে মনীষীরা থাকেন সেখানেও বিজ্ঞানীদের খুব গুরুত্বে রাখা হয় না। তবে কুদরাত-এ-খুদা এক্ষেত্রে বিরল ব্যক্তিত্ব বলা চলে। তিনি দেশ ও মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছেন। আসিফ বলেন, কুদরাত-এ-খুদার জীবনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন সৃজনশীল মানুষ এগিয়ে চলেন। তার সামনে নানা বাধা-বিপত্তি আসে কিন্তু তিনি কখনো থেমে থাকেননি। তিনি প্রথম জীবনে ছিলেন রসায়নবিদ, ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ, বাংলা ভাষায় লিখে চলেছিলেন বিজ্ঞানগ্রন্থ। দেশভাগ তাঁকে বানাল উদ্বাস্তু। পূর্ব পাকিস্তানে এসে হলেন প্রশাসক এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সামরিক উপদেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ যন্ত্রণাক্লিষ্ট অভিজ্ঞতা থেকে তৈরি করলেন শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট, যা ভবিষ্যতের মানুষ তৈরি করবে। সেই কমিশন কার্যকর হয়নি, তৈরি হয়নি সেই মানুষও। যারা ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে।
সুব্রত বডুয়া বলেন, কুদরাত-এ-খুদা বিজ্ঞান চেতনার সংগ্রাম করে গেছেন। বিজ্ঞানকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পাশাপাশি প্রয়োগকলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন। একটি অনগ্রসর সময় ও সমাজে জন্মগ্রহণ করে বিজ্ঞানকে সহায় করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উন্নত জীবন নিশ্চিতের স্বপ্ন দেখেছেন তিনি।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদা বাংলাদেশে বিজ্ঞান-আন্দোলনের মহীরুহের নাম। তিনি মনে করতেন বিজ্ঞান শুধু প্রযুক্তিগত প্রায়োগিকতা নয় বরং বিজ্ঞান হতে পারে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান পরিবর্তনের সোপান।