শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে এ ঘটনায় নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্য প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান তিনি।
আজ সোমবার সকালে নগরীর ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে এ দাবি জানান মেয়র।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের একজন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি পরিষ্কার বলতে চাই অতি দ্রুত খুনি,সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করতে হবে,দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
‘সন্ত্রাসী যেই হোক সে যদি সিটি কর্পোরেশনের কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাও হয়ে থাকে তাকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করবে - এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আমি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি সিটি কর্পোরেশনের কোনো নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে গ্রেপ্তার না হয় সেটা নজর রাখতে হবে। আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগের যে সমস্ত কর্মচারী দিনরাত পরিশ্রম করে চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখছে তারা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। আর চিহ্নিত যেসব সন্ত্রাসী এ কাজ করেছে তারা আইনের আওতায় আসবে। জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত শাস্তি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমি’ - বলেন মেয়র।
জনগণের সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, আমরা রাতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দিনের বেলায় যত্রতত্র ময়লা না ফেলে একটা সুনির্দিষ্ট সময়ে বিকেলে বা সন্ধ্যার পরে একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনারা ময়লা ফেলুন। আমরা সেটা সংগ্রহ করে নিয়ে যাব। সুনির্দিষ্ট সময়ে ময়লা ফেললে আমাদের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। জনগণের সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। জনগণের সেবক হিসেবে আমরা কাজ করছি। কাজেই আমরা মনে করি আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর, ক্লিন-গ্রিন-হেলদি সিটি আমরা জনগণকে উপহার দেবো।
পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যারা অনুপস্থিত থাকেন কিংবা কাজের গাফিলতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।