শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : সামুদ্রিক গবেষণা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত আর ভি মিন সন্ধানী জাহাজ পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আজ সোমবার চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরের নিজস্ব এ জাহাজ পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। এ সময় জাহাজটি সম্পর্কে স্কিপার লে.ক শরফুদ্দিন এবং সামুদ্রিক মৎস্য জরীপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের সহকারী পরিচালক আল মামুন উপদেষ্টার সামনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
আর ভি মিন সন্ধানী জাহাজটি শ্রিম্প সার্ভে (যার গভীরতা ১০-১০০ মিটার), ডেমারসাল সার্ভে (যার গভীরতা ১০-২০০ মিটার) ও পেলাজিক সার্ভে (যার গভীরতা ১০-২০০ মিটার) নিয়ে কাজ করে থাকে। জাহাজটি ৪৫৭ প্রজাতির মৎস্যসম্পদ চিহ্নিত ও রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে ৩৯৮ প্রজাতির মাছ, ২৭ প্রজাতির চিংড়ি, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া ও ১২ প্রজাতির মলাস্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, আরভি মিন সন্ধানী হলো বাংলাদেশের একটি গবেষণা জাহাজ। এটি মূলত সামুদ্রিক গবেষণা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত এবং বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সামুদ্রিক সম্পদ, বিশেষত মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর অবস্থা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। জাহাজটি সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির গুণমান, এবং জীববৈচিত্র সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে।
উপদেষ্টা এর আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মেরিন সার্ভিলেন্স চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। ‘ফিসারিজ মনিটরিং সেন্টার এন্ড জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার ইন সাসটেইনেবল মেরিন ফিসারিজ ম্যানেজমেন্ট ’শীর্ষক বিষয়ে উপস্থাপনা করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ উপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শরিফুল আযম। এতে বলা হয়, প্রকল্পটি মৎস্য জরিপ এবং মজুদ নিরুপণে কাজ করে যাচ্ছে। নিরীক্ষণ নিয়ন্ত্রণ তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে মৎস্য নৌযান ও মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন ও লাইন্সেসিং প্রদান করা হচ্ছে।
এ সময় উপদেষ্টার সাথে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিট চট্টগ্রামের পরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, হালদা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।