ঢাকা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেছেন, শ্বেতপত্র মানে শুধু অভিযোগ আনা নয়, এটি আত্মশুদ্ধিরও একটি প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, সব কিছুতেই সংস্কারের একটি বিষয় আসছে। দুদক সংস্কারেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে বিগত সরকারের ১৭ বছরে যা ঘটেছে, সেগুলোর শ্বেতপত্র আসছে। সেভাবে বিমানেরও শ্বেতপত্র আসবে।

হাসান আরিফ আজ রাজধানীর একটি হোটেলে  এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ -এটিজেএফবি’র উদ্যোগে আয়োজিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের  ‘তৃতীয় টার্মিনাল :সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক  গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।

হাসান আরিফ বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার বিষয়টি আমরা দেখব। আমরা হাত গুটিয়ে দিয়ে বসে থাকবো বিষয়টা এমন নয়। যদি তার সক্ষমতার ঘাটতি হয় বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় তিনি তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরও এক বছর লাগবে বলে জানান।

হাসান আরিফ বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল তৈরিতে ২৩ হাজার কোটি খরচ হয়েছে। একটি কি-নোট পেপারে দেখলাম দূর্নীতি না হলে এত টাকা খরচ হওয়া কথা না। নিশ্চয়ই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।  

এটিজেএফবির সভাপতি তানজীম আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ শাহজালাল বিমানবন্দরের অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এভিয়েশন অপারেটর'স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মফিজুর রহমান।  

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালসহ দেশের সব টার্মিনালগুলোকে উন্নত করার জন্য বেবিচক কাজ করছে।
তিনি বলেন,  এসব টার্মিনালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারের সঙ্গে আমাদের

কথা হয়েছে। এখন শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু জাতির কাছে একটা স্বপ্ন। তবে এজন্য বেবিচক বসে নেই। সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন।

গোল টেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান পরিচালনা বোর্ডের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জিএসএ রিদম গ্রুপের হেড অব বিজনেস মাসুদুজ্জামান।