বাসস
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৭

গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের শ্রমিকের মর্যাদায় শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর,২০২৪ (বাসস) : দেশের গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত কর্মীদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে শ্রম আইন সংস্কার করার সুপারিশ করতে শ্রম কমিশনের কাছে দাবি করেছেন গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত কর্মীরা।

আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত কর্মীদের সাথে অনুষ্ঠিত শ্রম সংস্কার কমিশনের এক মতবিনিময় সভায় গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এই দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, দেশের প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ শ্রম শক্তির সুরক্ষায় এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম সংস্কার কমিশন দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে শ্রম খাতের সুপারিশমালার প্রতিবেদন প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে। 

তিনি বলেন, দেশের সকল শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শ্রম সংস্কার ১২টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাবসহ শ্রম খাত সংস্কারের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে।  

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, এমপ্লয়ার ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি এম কামরান টি রহমান, কমিশনের সদস্য আশিকুল আলম, শাকিল আখতার চৌধুরী ও তাসলিমা আখতার। 

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, শত বছরের পুরানো দলিত ও হরিজন সম্প্রদায় যারা পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত প্রায় ৪০ লাখ কর্মীর অমানবিক জীবনযাত্রা এবং গৃহকর্মীদের অমানবিক কাজের চিত্র সবারই জানা রয়েছে। তাই শ্রমজীবী মানুষের শোভন কাজ ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় লক্ষ্যে জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ ন্যূনতম মজুরি কাঠামো গঠন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, শোভন ও মর্যদাপূর্ণ কর্মসংস্থান, কাজের নিরাপত্তা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা, সংগঠিত হওয়া ও দরকষাকষির অধিকার নিয়ে সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন কাজ করছে। এ ছাড়া অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের চর্চা, শিল্পখাত বিকাশের স্বার্থে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি পর্যালোচনা ও সুপারিশসহ ন্যায্য অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিশন সুপারিশ প্রণয়ণে কাজ করবে। 

তিনি বলেন, শ্রম ও শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে শ্রম সংস্কার কমিশন সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণে সকল মহলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নেয়া হবে।