শিরোনাম
ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : পুলিশ বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন (পিআরসি)। ৮০ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
আজ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়, ‘পিআরসি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর ক্ষমতা অর্পণ করে এই লক্ষ্যে একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়েছে।’
পিআরসি পরিচালিত ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক জরিপে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
তবে আইনের মাধ্যমে তদন্ত কমিশন গঠনের পাশাপাশি স্থায়ী তদন্ত কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কিছু পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে সাম্প্রতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শিরোনামের এই গণজরিপটি করা হয়েছে।
সেই লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনী সংস্কারে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ কীভাবে তদন্ত করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া ২৪ হাজার ৪৪২ জনের মধ্যে ৬০ শতাংশই বিষয়টি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন।
তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। এবং ২০ শতাংশ ২০০৯ সালের প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন।
সমীক্ষায় বলা হয়, পরিচয় নির্বিশেষে জনগণের জন্য সমানভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেশের একটি আইন মান্যকারী, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন পুলিশ প্রয়োজন।
এতে আরো বলা হয়, ‘প্রায় ৮৯.৫ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুলিশ বাহিনী ব্যবহার বন্ধ করতে মত দিয়েছেন। এবং ৭৭.৯ শতাংশ মানুষ চায় পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতিতে লিপ্ত না হোক।’
এছাড়া ৭৪.৯ শতাংশ অধিকার লঙ্ঘনের জন্য পুলিশকে জবাবদিহির আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছেন যার মধ্যে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরিপটি এখন পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.prc.mhapsd.gov.bd) পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ সংস্কার কমিশন গত ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তাদের মতামত জমা দেওয়ার অনুরোধের পরে বিভিন্ন বিভাগের ২৪ হাজার ৪৪২ জন ব্যক্তির কাছ থেকে সুপারিশ পেয়েছে।