বাসস
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০১

প্রাগে বাংলাদেশ-চেক প্রথম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ ও চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যকার প্রথম দ্বিপাক্ষিক  আলোচনা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

দেশটির রাজধানী প্রাগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এ সংলাপে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং চেক উপ-পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী জিরি কোজাক নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ  বিজ্ঞপ্তিতে  এ কথা বলা হয়েছে।

গত জুলাই- আগস্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিপ্লবের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়। 

পরারাষ্ট্র সচিব শাসনব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধারের লক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং চলমান সংস্কারের রূপরেখাও তুলে ধরেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ট করার সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিত করার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।  

উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের তাৎপর্যপূর্ণ  সুযোগের কথা স্বীকার করেন এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ২০১৯ চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের প্রথম বৈঠক আহ্বানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব জসিম ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং চেক চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে কাজ শুরু করতে চেম্বার অফ কমার্স এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার আহ্বান জানান।

এছাড়াও, পররাষ্ট্র সচিব ব্যবসায়িক ভিসা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারস্পরিক প্রচার এবং বিনিয়োগ সুরক্ষার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।

উভয় দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইসিটি, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। তারা জনশক্তি রপ্তানির উদ্যোগ অন্বেষণ, চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সহজীকরণ এবং জনগণের মধ্যে জোড়ালো সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশ ও চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়।