বাসস
  ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০০

বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ পরিবার বাংলার জমিনে রাজনীতি করতে পারবে না : শাহজাহান চৌধুরী

চট্টগ্রাম, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের যে মঞ্চে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল তাকেও একই মঞ্চে নিয়ে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ পরিবার বাংলার জমিনে আর রাজনীতি করতে পারবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলশী থানা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলমগীর ভুইঁয়ার সভাপতিত্বে, নায়েবে আমির আইয়ুব আলী হায়দার, সেক্রেটারি আমান উল্লাহ আমান ও কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির পরিবেশ বিজ্ঞানী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

মহানগরী জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে জামায়াতে ইসলামীর উপর আঘাত করে শেখ মুজিব। ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ সারাদেশের ৬০০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছিল। শেখ মুজিব জামায়াতে ইসলামীকে দাবায়ে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। কোন ইসলামী দলকে কাজ করতে দেয়নি। উপমহাদেশে একমাত্র সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর উপর সবচেয়ে বেশি আঘাত এসেছে, সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে এই দলের নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামী দমে যাওয়ার দল নয়। এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করে না।

তিনি বলেন, গত দীর্ঘ ১৮ বছর শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। এমন কোনো নির্যাতন নেই শেখ হাসিনা করেনি। এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই তার দলের লোকেরা করেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নয়। আমাদের নিষিদ্ধ করে ৫ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হলেন।

প্রধান বক্তা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির সংকট মুহুর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। এই ঐক্যের ভিত্তি রচনা হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। আমরা যদি জাতীয় ঐক্য রক্ষা করতে পারি তাহলে দেশকে ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচাতে পারব। তারপর তারা আগরতলায় বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা জাতিবর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা শান্তভাবে মোকাবিলা করেছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস এবং মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। সম্মেলনে দারসুল কোরআন পেশ করেন সাতকানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুল আলম।

কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পাঁচলাইশ থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমি, খুলশী থানার নায়েবে আমির আইয়ুব আলী হায়দার, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ ছাত্র শিবিরের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমির মো. ওমর ফারুক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আমির মো. আবু রাশেদ, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজ আলম, রেলওয়ে শ্রমিক নেতা সেলিম পাটোয়ারী প্রমুখ। কর্মী সম্মেলনে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে পারাবার শিল্পী গোষ্ঠী ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।