শিরোনাম
নাটোর, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জেলার বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। দামও কমতে শুরু করেছে। ফিরছে জনজীবনে স্বস্তি।
নাটোর শহরের বাজারগুলোতে আজ সবজির প্রাচুর্য, দামও সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। বেগুন, মিষ্টি কুমড়া এবং ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি, শিম, বরবটি, করলা ৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, মুূলা ২০ টাকা, লাউ এক একটি গড়ে ৩৫ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, নতুন উঠা ড্যামনা পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ৮০ টাকা। তবে আলুর বাজার এখনো উচ্চমূল্য পর্যায়ে। প্রতিকেজি আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, নতুন আলু ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তবে গ্রামীণ জনপদের বাজার এবং হাটগুলোতে দাম আরো একটু কম।
নীচাবাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, দু-তিন সপ্তাহ আগে সবজি চড়া মূল্য ছিলো। এখন সরবরাহ বেড়ে দাম কমেছে। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে।
জিতেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, আমরা পাইকার থেকে বা হাট থেকে সবজি কিনে প্রতিকেজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা মুনাফা করি। সামনের দিনে সবজির দাম আরো কমবে।
ক্রেতা বিটিবিএম কলেজের প্রভাষক আহমেদুল কবীর বলেন, বাজার সবজির মূল্য ক্রমশ কমছে। এখন বাজারে স্বস্তি ফিরেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদদু বলেন, চলতি মৌসুমে বর্ষার স্বাভাবিক সময় পেরিয়ে দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়েছে। তাই কৃষকের সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখন সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বাজারে সবজি সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। আরো কমবে বলে আশা করছি।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বলেন, বাজার মূল্য সহনীয় রাখতে ন্যায্য মূল্যের সমবায় বাজার, জনতার বাজার কাজ করছে। এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রচলিত বাজার পর্যবেক্ষণ এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিবিড় মনিটরিং কার্যক্রমে বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।