শিরোনাম
ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ ও চেক প্রজাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা একটি পাইলট উদ্যোগের আওতায় দেশটিতে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন গত সপ্তাহে প্রাগে চেক প্রজাতন্ত্রের কর্মসংস্থান নীতি বিষয়ক মহাপরিচালক ক্যাটেরিনা স্তেপানকোভার সঙ্গে সাক্ষাতকালে তাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষ চেক প্রজাতন্ত্রের কর্মসংস্থান নীতির বিষয়ে মতবিনিময় করেন এবং সম্ভাব্য জনশক্তি সহযোগিতার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
চেক চেম্বার অফ কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাদেক জাকুবস্কির সাথে এক পৃথক বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। তিনি চেক ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে (এসএমই) যৌথ-উদ্যোগ বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
উভয়ের মধ্যে এ আলোচনাকালে ২০১৩ সালের সমঝোতা স্মারকের পর দু’দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার ওপরও আলোকপাত করা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব জসিম দু’দেশের চেম্বারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রস্তাব করেন। রাদেক জাকুবস্কি এ পরামর্শকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে চেক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ব্রিফিং আয়োজনের প্রস্তাব করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব চলমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা ও বাণিজ্য বহুমুখীকরণ নিয়ে আলোচনা করতে চেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি ভ্লাদিমির মানার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
উভয় কর্মকর্তাই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে আমদানি ও রপ্তানি ক্ষেত্র বিস্তৃত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বৈঠকে, জসিম দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের পারস্পরিক প্রচার ও সুরক্ষার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরে বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের আইটি পেশাদারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা তুলে ধরেন এবং এ সেক্টরে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়োগের জন্য চেক কোম্পানিগুলিকে আমন্ত্রণ জানান।
জসিম ২০১৯ সালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের ত্বরান্বিত আহ্বান জানান।
ভøাদিমির মানা ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে কমিশনের প্রথম বৈঠক করার জন্য চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
জসিম ইইউ-বাংলাদেশের উদ্যোগের আপডেট প্রদান করেন, যার মধ্যে সমন্বিত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি ২০২৯ সালে এলডিসি’তে উত্তরণের পর জেনারালাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্স প্লাস (জিএসপি+) এর লক্ষ্যে শ্রম ও পরিবেশগত সম্মতির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক মান পূরণের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার উপর জোর দেন। তিনি এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য চেক প্রজাতন্ত্রকে অনুরোধ করেন।
মানা বাংলাদেশকে চেক প্রজাতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করে সরবরাহ চেইন, সংযোগ, ইন্দো-প্যাসিফিক উদ্যোগ ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।