বাসস
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৪১

নারীর প্রতি হয়রানি রোধে আইএলও কনভেনশন সি-১৯০ অনুসমর্থনসহ ৭ দফা দাবি উত্থাপন জেপিবি’র

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : নারীর প্রতি হয়রানি ও নির্যাতন রোধে আইএলও কনভেনশন সি-১৯০ অনুসমর্থনসহ ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ-জেপিবি।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জেন্ডার প্ল্যাটফর্মের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি উত্থাপন করেন সবুজের অভিযানের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা বেগম। 

এতে যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে “কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন, কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকের যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে প্রদানকৃত  হাইকোর্টের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন,  সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি গঠন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা,  নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫- এর সংশোধনীতে (১ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রকাশিত গেজেট) উল্লেখিত নারীর প্রতি আচরণ সংক্রান্ত নতুন বিধি ৩৬১ক এবং এই বিধির ৩৬১ক (২)’এ বর্ণিত অভিযোগ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া  হাইকোর্টের প্রদানকৃত নির্দেশনা-এর ভিত্তিতে করা এবং নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত সংস্কৃতি চর্চা অব্যবহত রাখার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, বিলস এর পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, বিএনডব্লিউএলএ’র উপ-পরিচালক নিঘাত সীমা এবং সলিডারিটি সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অনিন্দিতা ঘোষ।

প্ল্যাটফর্ম এর পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী পাঁচ দশকে বাংলাদেশের নারীদের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এলেও নারী নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং এবং ধর্ষণ-গণধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতামূলক কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসছে না, বরং এখন নারীর প্রতি সহিংসতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। গণপরিবহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, এমনকি অনেক নারী নিজের পরিবারেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।“নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০”, “বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬” ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও কেন কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পৃথক আইন প্রয়োজন। তাই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে “কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন ২০১৮” এর প্রস্তাবিত খসড়া  সরকারের কাছে দাখিল করেছে।