শিরোনাম
কুমিল্লা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) 'ভাষার দুই অক্ষ- রূপক ও লক্ষণা' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে কুবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব লিবালের আর্টস বাংলাদেশ’র (ইউল্যাব) অধ্যাপক ও লেখক সলিমুল্লাহ খান।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান ভাষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন। পরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
এর আগে সংক্ষিপ্ত অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সোলাইমান।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুবির সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিসুল ইসলাম, প্রভাষক জাকিয়া মুক্তাসহ অন্যরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াফা আক্তার রিমু ও জাওয়াদ-উর-রাকিন খানের সঞ্চালনায় সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান ভাষার উৎপত্তি, অর্থের পরিবর্তন, ব্যবহার এবং প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সকল আওয়াজই ভাষা নয়। অর্থপূর্ণ আওয়াজকেই ভাষা বলা হয়৷ ভাষা হচ্ছে সেই আওয়াজ যা অর্থ উৎপাদন করে। নিজের ভাষা যারা না জেনে, বিদেশি ভাষা শিখছে, তাদের শক্তি বৃদ্ধিকরণ হচ্ছে না, গোলামীকরণ হচ্ছে।”
সলিমুল্লাহ খানের প্রশংসা করে অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন,তার বক্তব্য শুনে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে, উনার দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করার জ্ঞান আমারও নেই। পৃথিবীতে দুই ধরনের অক্ষ আছে, একটি অর্থবহন করে আর অন্যটি উচ্চারণ বহন করে। আর যারা অর্থবহন করার সেই অক্ষগুলো বের করেছে তারা বেশি জ্ঞানী। বর্তমান যুগে এই ভাষার অক্ষগুলো বুঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘জ্ঞান একটা লেভেলে গিয়ে আলোকবর্তিকায় পরিণত হয়। আর আজকের প্রধান আলোচক সলিমুল্লাহ খান স্যার নিজেকে ওই পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আমাদেরও উচিত ওই পর্যায়ে আমাদের জ্ঞান নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। সংস্কৃতির জন্য ভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, আমি চাই এই উপাদানের চর্চা হোক।”
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সলিমুল্লাহ স্যার ছিলেন একজন স্পোক পার্সন, উনার কথা আমরা সেসময় শুনেছি, উনি আমাদের জন্য সে সময় আলোর বাতি হিসেবে কাজ করেছেন৷ কিন্তু এরকম বাতি একটা থাকলে হবে না, তোমাদের থেকে সলিমুল্লাহ স্যারের মতো লক্ষ লক্ষ বাতি তৈরি হতে হবে। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে তোমরা বারবার দেশের হাল ধরবে।’
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা একাডেমিক আলোচনা ছিলো। সংবাদিকতা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষার গুরুত্ব অনেক। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাষা ব্যবহার করেই কাজ করে। অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান সেই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়েই আজকের একাডেমিক আলোচনাটি করেছেন, আমরা শিক্ষকরাও তার আলোচনা থেকে সমৃদ্ধ হয়েছি।’