শিরোনাম
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস): জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী ‘আমাদের গল্প আমরাই বলবো, মেহনতি জনতার জন্য আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা।
আজ বুধবার প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের নিজেদের মোবাইল ফোনে তোলা ছবি নিয়ে সন্ধ্যায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। হরিজন পল্লীতে প্রশিক্ষণার্থীদের নিজেদের ঘরের দেয়ালে প্রায় ১৫০ ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।
পরবর্তী কার্যক্রমে আগামী ১৩-১৫ ডিসেম্বর, কমলাপুর রেল স্টেশনে কুলি সম্প্রদায়কে নিয়ে; ১৫-১৭ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচায় গৃহ শ্রমিকদের নিয়ে; ২৪-২৬ডিসেম্বর গাজী সরণী-২, পূর্ব বাড্ডায় রিকশা শ্রমিকদের নিয়ে এবং ২৭-২৯ ডিসেম্বর গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে আশুলিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম নরসিংহপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
সমাপনী দিনে আলোকচিত্র প্রদশর্নী পরিদর্শন করতে পুরান ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজন পল্লীতে যান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। পরিদর্শন শেষে সবার সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
শিল্পকলা একাডেমির সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় একটা বড় অংশ ছিলো শ্রমজীবী মানুষ। যারা ঝুঁকি নিয়ে অত্যাচারের ভয়বহতা মোবাইলে তুলে সারা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সাংবাদিকতাকে আরও উৎসাহিত করতে এবং আন্দোলনকালীন তাদের ভাবনাগুলো উপস্থাপনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজন।
সূত্র জানায়, শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের নিয়েও এই আয়োজনকে জেলা পর্যায়ে বিস্তার ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির। গৃহবধু, তরুণ-তরুণীসহ হরিজন সম্প্রদায়ের ১৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ‘আমাদের গল্প আমরাই বলবো, মেহনতি জনতার জন্য আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ’ শুরু হয় গত ৯ ডিসেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টা-বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণে ছবি তোলার কারিগরি ও শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
হরিজন সম্প্রদায়কে নিয়ে এ প্রশিক্ষণ সমন্বয় করেন ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া। একাডেমির বিভাগ থেকে কর্মশালা সমন্বয় করেছেন প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান এবং শেখ মুহম্মদ এহসানুর রহমান, ইন্সট্রাক্টর (নাটক)।