শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং (বাসস) : ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই সবচেয়ে কার্যকর উপায় এবং মুক্তির পথ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক র্যালি ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মেয়র।
মশা নিধনে সিটি করপোরেশন নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। ময়লা ও পানি জমে থাকার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করা জরুরি। এককভাবে কেবলমাত্র আমাদের প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। স্থানীয় জনগণকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। এভাবেই আমরা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।
তিনি বলেন,‘আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মহল্লা কমিটি ও স্থানীয়দের বলেছি পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঠিকমত কাজ করছে কিনা, তা দেখবেন। নিজের শহর হিসেবে কিছু দায়িত্ব আপনারাও নেন। কোথাও ময়লা-আবর্জনা বা নালা-নর্দমা অপরিচ্ছন্ন দেখলে সংশ্লিস্ট ওয়ার্ডের সুপারভাইজারদের সরাসরি ফোন করবেন। সাড়া না দিলে আমি ব্যবস্থা নেব।’
জ্বর দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রোগ একবার হয়ে গেলে তো চিকিৎসা নিতে হয় এবং কেউ শক সিনড্রোমে চলে গেলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। কারো লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে আমাদের মেমন-২ হাসপাতালের ডেঙ্গু সেন্টারে আসতে পারে। সেখানে আমরা ডেঙ্গুর এন্টিজেন টেস্ট করি। সেখানে আমরা রোগীও রাখি।
ডা. শাহাদাত জানান, মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,‘নিজেদের ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তির পথ।’
এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানাসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।