শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়নের মেরুদণ্ড হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। রাস্তা-ঘাট, সেতু, দালান-কোটা, পানি ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে জড়িত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পুরকৌশল বিভাগের আয়োজনে ‘৭ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডভান্সেস ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএসিই) ২০২৪’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিকল্প নেই। এই কনফারেন্সের থিম মতে বলতে হয়, বৈচিত্র্যময় বিশ্বে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রায় সব কিছুর সাথেই জড়িত। তাই আমাদের কর্মপরিকল্পনাও হতে হবে বৃহৎ। আমাদের তরুণ গবেষক ও ছাত্ররা এই কনফারেন্স থেকে নতুন নতুন আইডিয়া ও জ্ঞান অন্বেষণ করতে পারবে যা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কল্যাণকর হবে বলে আমি মনে করি।’
চুয়েটের কেদ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, চুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল।
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং আমাদের জীবনকে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক করে তোলার জন্য কাজ করে। যেহেতু আমরা নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সম্পদের অভাবের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, সেহেতু একটি টেকসই এবং স্থিতিশীল সমাজ তৈরীতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশ্বের পেশাদার গবেষক, স্কলারস ও শিক্ষাবিদদের গবেষণা ও নতুন আইডিয়াগুলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমাদের তরুণদের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করবে বলে আমি মনে করি, যাতে তারা আমাদের সমাজকে গতিশীল ও টেকসই করে গড়ে তুলতে পারে।’
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে সর্বমোট ৮টি দেশ (বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ড) থেকে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, স্কলারস, ডিসিশন মেকার্সগণ অংশ নিচ্ছেন।
কনফারেন্সে ২টি মূল প্রবন্ধ এবং ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এই কনফারেন্সে সর্বমোট ৪৪৭টি রিসার্চ পেপার উপস্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৮৪টি অনলাইন প্রেজেন্টেশন এবং ২৬৩টি অফলাইন প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্স সভাপতি ও পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সজীব উল্লাহ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছা. মুক্তা বানু ও একই বিভাগের প্রভাষক মো. আসিফুর রহমান।