বাসস
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:২৮

বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো ও বরেণ্য কবি হেলাল হাফিজের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাখা হয়।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে কবি হেলাল হাফিজের নামাজ-ই-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের নেতৃত্বে একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রয়াত কবির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময়  অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আতাউর রহমানসহ কবির পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র একটি কবিতার বই লিখে একটি জাতির শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসে আর কোনো কবি এতো প্রভাব রাখতে পেরেছেন কিনা আমার জানা নেই। তিনি খুব বেশি কবিতা লেখেননি। খুব বেশি বইও বের হয়নি তবুও তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের নাম মনে পড়ে। এটা তার অর্জন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগত তার শূন্যতাবোধ করবে।


প্রতিভাবান কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি। 

দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।