শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাস্তুতন্ত্র ও প্রকৃতি ঠিক রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নে বাস্তবমুখী পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ইউএনডিপি’র ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়্যুগেস প্রধানাংয়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ কথা জানান।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি’র প্রস্তাবিত ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন এন্ড রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি’ শীর্ষক প্রকল্পের টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (টিএপিপি) প্রণয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আরেকটি সভা আহ্বান করার কথাও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়।
সভায় সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্য্যকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। প্রকল্পের উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো বিরূপ কিছু না ঘটিয়ে পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড়, বন-জঙ্গল ও প্রাণিকূলের পরিবেশকে অক্ষুন্ন রেখে বাঁশ, বেত-ঝোঁপ-ঝাড়ের মতো বৃক্ষরোপণ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির লেয়ার নষ্ট না করে ডিপ টিউবওয়েলের পরিবর্তে গ্রাউন্ড সারফেইস-এর পানি ব্যবহার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, সমাজের গতিশীলতা আনতে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা পদ্ধতিগুলোয় উদ্ভাবনী জ্ঞানকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ভাবনী শিক্ষার পদ্ধতিগুলো খুবই প্রয়োজন। কোয়ালিটি এডুকেশন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সঙ্গে চিন্তা চেতনার সমন্বয় করানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশকে তার স্বকীয়তা বজায় রেখে ‘যেখানে যেমন, সেখানে তেমন’ উপায়ে সাজাতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, পানির উৎস হলো পাহাড়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে হবে। পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে।
এসময় ইউএনডিপি’র ফরেস্ট এন্ড ওয়াটারসেড ব্যবস্থাপনার চিফ টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ ড. রাম শর্মা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম-সচিব কংকন চাকমা ও উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব সুভাশীষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।