বাসস
  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৭

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

একইসঙ্গে নওফেলের স্ত্রী ইমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং ইমার নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় তার প্রতি সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। 

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজ বিকেলে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। 

দুদক সূত্র জানায়, মহিবুল হাসান চৌধুরীর ঘোষিত সম্পদ বিবরণীতে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮১০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৬১৮ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে তার স্ত্রী ইমার বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার সন্দেহভাজন সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেলের নিজ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ৪১ টি হিসাবে মোট ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা জমা ও ৯৭ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৬১৭ টাকা উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে ওই একাউন্টগুলোতে ২০ কোটি ১৯ লাভ ৭২ হাজার ৭৫৮ টাকা স্থিতি রয়েছে। তার এই বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন সন্দেহজনক, যা মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেল এমপি/শিক্ষা উপমন্ত্রী/শিক্ষা মন্ত্রী (পাবলিক সার্ভেন্ট) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। 

এই টাকা বৈধকরণের জন্য বা উৎস আড়াল করার জন্য তিনি তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে ব্যাপক লেনদেন করেছেন। ওই ব্যবসার যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ দেখিয়েছেন, সে তুলনায় তার ব্যাপক সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন এবং অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, করার মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে দুদকের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে। 

গত আগস্ট মাসে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০ আগস্ট মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তার পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।