বাসস
  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৫

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির আগে অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনার সুপারিশ টিআইবি’র 

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪' খসড়া জারি করার আগে ব্যাপক পর্যালোচনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাস সময় দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আজ টিআইবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃক পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ব্যতিরেকে জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে টিআইবি সুপারিশ জানিয়েছে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান চিঠিতে বলেন, ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সকল নাগরিকের মনে স্বস্তির সঞ্চার করেছে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপের অন্যতম।

তিনি বলেন, বাক্ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে এমন আইন বাতিল করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন ও বিধি শাখা থেকে “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪”-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ অধ্যাদেশ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন এবং সাইবার অপরাধ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত হবে বলে টিআইবি আশা করে।

তাছাড়া, পূর্ববর্তী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো নাগরিকের বাক্ ও মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করার আশঙ্কা এ অধ্যাদেশে থেকে যাওয়ার সুযোগ আছে কি-না, তা যথাযথ পর্যালোচনার দাবি রাখে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই খসড়া পর্যালোচনার জন্য মাত্র তিন কর্মদিবসের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিলো, যা শেষ হয়েছে এবং তা ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

“গণমাধ্যম সূত্র মতে, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদ খসড়ার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’র মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃক পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ব্যতিরেকে জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে।”

এমতাবস্থায়, টিআইবি সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার সময় কমপক্ষে এক মাস বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করবে যে, সতর্কতামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্লেষণের পরই অধ্যাদেশ জারি হয়েছে।